www passport gov bd check - অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন
পাসপোর্ট সেবাকে আরো সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে অনলাইন পাসপোর্ট সিস্টেম । যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট আপনি নিজে তৈরি করতে পারবেন ।
তার আগে এক নজরে স্ক্রল করে দেখে নিন কি কি থাকছে আমাদের এই পোস্টে
১/ অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি ।
২/ পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার পদ্ধতি
৩/ অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের সুবিধা
৪/ কথা থেকে পাসপোর্ট হাতে পাবেন
৫/ পাসপোর্ট অফিসের ঠিকানার তালিকা
৬/ মেয়াদ অনুযায়ী পাসপোর্টের মূল্য
৭/ অনলাইন পাসপোর্ট এর শর্ত
৮/ অনলাইনে পাসপোর্ট চেকিং এর নিয়ম।
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম । Application
বাংলাদেশের অনলাইন পাসপোর্ট নিবন্ধন ও আবেদন সিস্টেম এখন থেকে ব্যবহারকারীদের সহজতর করার জন্য উদ্ভাবিত হয়েছে।
পাসপোর্ট নিবন্ধন ও আবেদন প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়, যা নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অনুসরণ করে সম্পন্ন করতে হয়:
পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করার জন্য আপনার নিজের নথিপত্রের (যেমন: জন্ম নিবন্ধন সনদ, ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড)
সকল প্রকার তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনি এই প্রক্রিয়াটি অনলাইনে অথবা পাসপোর্ট অফিসে করতে পারবেন। ধাপ ১: অনলাইনে পাসপোর্ট নিবন্ধন এর জন্য আপনাকে ( https://www.epassport.gov.bd/onboarding )এই সাইটে প্রবেশ করুন।প্রবেশ করার পর আপনি নিচের মত একটি পেজ থেখতে পারবেন ।
এখান থেকে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ধাপ ২: অ্যাকাউন্ট তৈরির পর আপনাকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে, যেমন: নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি। ধাপ ৩: অ্যাকাউন্ট সফলভাবে তৈরি হওয়ার পর আপনি আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পারবেন। লগিন করার পর সেখানে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার জন্য নিচের মতো একটি ফর্ম দেখতে পারবেন ।
ধাপ ৪: ফরমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে, যেমন: নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি। আপনাকে আপনার ছবি সহ কিছু আপলোড করতে হবে, যাতে ছবি আপনার আবেদনের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। ধাপ ৫: আপনার আবেদন সম্পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধ করার জন্য আপনি অনলাইনে বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করতে পারবেন, যেমন: ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, নেট ব্যাংকিং ইত্যাদি। ধাপ ৬: পাসপোর্ট ফি পরিশোধ হওয়ার পর আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম ্পন্ন হয়ে যাবে। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত আপনি আপনার আবেদনের অবস্থা অনলাইনে মনিটর করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে আপনি বাংলাদেশের অনলাইন পাসপোর্ট সম্পর্কিত আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। এটি সহজ, সরাসরি এবং সময়সূচী বিনিময়ে কাজ করার জন্য সুবিধাজনক। আপনি এই পদ্ধতি মাধ্যমে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন বা আপনার পাসপোর্টের নবীকরণ করতে পারেন।
অনলাইনে পাসপোর্ট চেকিং এর নিয়ম। - ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম । passport check
বাংলাদেশে অনলাইনে পাসপোর্ট চেকিং ( tracking ) করতে পারবেন পাসপোর্ট নম্বর এবং জন্ম তারিখের মাধ্যমে। নিম্নলিখিত স্টেপগুলো অনুসরণ করে আপনি পাসপোর্টের তথ্য চেক করতে পারবেন:
১.পাসপোর্ট অফিসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে যেতে এই ঠিকানায় যান: [https://www.passport.gov.bd/](https://www.passport.gov.bd/)
২. ওয়েবসাইটের মেন্যু বা হোমপেজে পাসপোর্ট চেক অপশন সন্নিবেশ করা থাকবে। চেক অপশনটিতে ক্লিক করুন।
৩. online পাসপোর্ট চেক পেইজে আপনাকে পাসপোর্ট নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করতে হবে। আপনি আপনার নিজের পাসপোর্টের তথ্যগুলো প্রদান করুন।
৪. status check এ তথ্যগুলো প্রদান করার পর আপনি পাসপোর্টের বর্তমান স্থিতি ও বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। এটি আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ, জন্ম তারিখ, নাম, ছবি ইত্যাদি সহ বিভিন্ন তথ্য থাকবে। এই পদ্ধতিতে আপনি অনলাইনে আপনার বিদ্যমান পাসপোর্টের তথ্য চেক করতে পারবেন। যদি আপনি অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করতে সমস্যা অনুভব করেন বা তথ্য পেতে অক্ষম হয়ে যান, তবে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যেতে পারেন এবং সেখানে আপনার পাসপোর্টের তথ্য চেক করতে পারেন।
অনলাইন পাসপোর্ট এর শর্ত - passport gov bd
অনলাইনে বাংলাদেশের পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত শর্তগুলো মেনে চলতে হবে:
১. আবেদনকারী বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের অধিক হতে হবে। যদি আবেদনকারী তিনি সন্তান হয়ে থাকেন, তবে একজন সন্তান নিশ্চিত করার জন্য সহায়তার স্বরূপে অনলাইনে আবেদন করা যেতে পারে।
৩. আবেদনকারীর নিজস্ব ইমেইল এড্রেস এবং মোবাইল নম্বর থাকতে হবে। এই তথ্যগুলি ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করা হবে।
৪. আবেদনকারীর ছবি অবশ্যই নির্দিষ্ট প্রযোজ্য মানদণ্ডের মেধারে থাকতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার সময় ছবি আপলোড করতে হবে।
৫. আবেদনকারীকে আবেদনের ফি পরিশোধ করতে হবে। পাসপোর্ট অফিস অনলাইনে পেমেন্টের সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও, পাসপোর্টের আবেদন সময়ে আবেদনকারীর নিজস্ব নথি এবং প্রয়োজনীয় দলিল গ্রহণযোগ্য হতে হবে, যেমন: জন্ম সনদ, ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড, ঠিকানা প্রমাণপত্র ইত্যাদি। এই নথি-দলিলগুলি প্রয়োজনে পাসপোর্ট অফিসে সাবমিট করতে হতে পারে। পাসপোর্ট চেকিং করতে হলে সাধারণত পাসপোর্ট নম্বর এবং জন্ম তারিখের তথ্য দ্বারা পাসপোর্টের অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসের অনলাইন চেকিং সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান করতে হবে।
কথা থেকে পাসপোর্ট হাতে পাবেন
পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য আপনাকে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি পাসপোর্ট হাতে পাবেন:
১. নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যান: প্রথমে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যাওয়া প্রয়োজন হবে। আপনার প্রান্ত অফিসের ঠিকানা ও সময়ের জন্য পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট বা অফিসের নির্দেশিকা দেখুন।
২. আবেদন ফরম প্রদান করুন: পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছার পর আপনাকে পাসপোর্ট আবেদন ফরম প্রদান করতে হবে। ফরমটি পূরণ করুন এবং সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করুন। ফরমে আপনার ব্যক্তিগত ও পাসপোর্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনার পাসপোর্ট ফটো সহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও দলিলগুলি সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
৩. পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন: আবেদন ফরম প্রদান করার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধের পদ্ধতি ও পেমেন্ট অপশনগুলি পাসপোর্ট অফিসের নির্দেশিকা অনুযায়ী অনুসরণ করুন।
৪. পাসপোর্টের স্থিতি পরিদর্শন: আবেদন ফরম এবং ফি পরিশোধ সম্পন্ন হলে, আপনার আবেদন পরিদর্শিত হবে এবং পাসপোর্টের স্থিতি নিশ্চিত করা হবে। সাধারণত এই পরিদর্শনে আপনার ছবি তুলে নেওয়া হয়।
৫. পাসপোর্ট উত্পাদন: পাসপোর্ট অফিস পাসপোর্টের উত্পাদন করে এবং আপনাকে হাতে পাঠিয়ে দেয়। আপনি পাসপোর্ট নিয়ে এবার তৈরি হয়ে দেশে ফিরত চলে যাতে আপনি তা ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট আবেদন করে এবং তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ ্যে পাসপোর্ট হাতে পাবেন। পাসপোর্টের উত্পাদন সময় বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সেটি সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
বাংলাদেশে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য প্রক্রিয়া - passport renewal process in bangladesh
বাংলাদেশে পাসপোর্ট নবায়ন করার প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্নভাবে চলতে পারে, কিন্তু সাধারণভাবে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:
১. পাসপোর্ট নবায়নের জন্য যে কোনো বাংলাদেশ উচ্চ আণবিক দূতাবাসে অথবা বাংলাদেশ মহাকুমরাবাসে গিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন আবেগ ফরম প্রাপ্ত করতে পারেন বা তা অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারেন। এটি বাংলাদেশের প্রধান বাংলাদেশ উচ্চ আণবিক দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই পেতে পারবেন।
২. পাসপোর্ট নবায়ন আবেগ ফরম পূরণ করুন এবং সব প্রয়োজনীয় তথ্য, ডকুমেন্ট এবং ফোটো যোগ করুন। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। ৩. পাসপোর্ট নবায়ন আবেগ ফরম সঠিকভাবে পূরণ করার পর, আপনার পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ প্রায়শই একটি প্রাকটিশনারী অনুমোদন নম্বর পেতে হবে।
৪. অনুমোদন প্রাপ্ত হলে, আপনার সাথে এই অনুমোদন নম্বর সহ পাসপোর্ট, অরিজিনাল কপি এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে নিকটস্থ উচ্চ আণবিক দূতাবাসে যাওয়া প্রয়োজন। অনুমোদন নম্বর ছাড়াও যাওয়া যাবে না।
৫. স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদন প্রাপ্ত পাসপোর্ট নিবন্ধকে অনুস্থানে গিয়ে নবায়ন করাতে পারেন। নবায়ন ফি প্রদান করুন এবং পাসপোর্ট নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। বাংলাদেশে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য প্রক্রিয়া প্রস্তুতি হলে, পাসপোর্ট নবায়নের জন্য সর্বাধিক প্রায় দুই সপ্তাহ প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং, সময় অনুমতি করে আগে প্রস্তুত হয়ে নেওয়া উচিত।
আপনি আপনার নিকটস্থ বাংলাদেশ উচ্চ আণবিক দূতাবাসের ওয়েবসাইট বা অফিসে যোগাযোগ করে বিশদ পরামর্শ ও নির্দেশিকা প্রাপ্ত করতে পারেন।
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের সুবিধা
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার সুবিধা নিম্নরূপ:
1. সহজ ও সময়সূচীভুক্ত: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করা অত্যন্ত সহজ এবং সময়সূচীভুক্ত। আপনি যে কোন সময় আবেদন করতে পারেন, অফিসে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
2. অলাভজনক: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন অলাভজনক সুবিধা পাচ্ছেন। আপনি হোমে বসেই আবেদন পূর্ণ করতে পারেন এবং দরকারি কাগজপত্র একত্র করে অনলাইনে সংযোজন করতে পারেন।
3. দ্রুত প্রক্রিয়া: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার পর আপনার আবেদন দ্রুততার সাথে প্রক্রিয়াকরণ হয়। আপনি আপনার আবেদনের অবস্থা অনলাইনে মনিটর করতে পারেন এবং পাসপোর্টের উত্পাদনের সময়সূচী জানতে পারেন।
4. সুরক্ষিত ও নিরাপদ: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার সিস্টেমটি সুরক্ষিত এবং নিরাপদ। আপনার ব্যক্তিগত ও সংক্রান্ত তথ্যগুলি সংরক্ষণ করা হয় সুরক্ষিতভাবে এবং অনধিকারগ্রস্থভাবে।
5. অনলাইন সমর্থন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার সময় আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য অনলাইন সমর্থন পাচ্ছেন। আপনি পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে সমর্থনের সংশ্লিষ্ট তথ্য পাবেন এবং প্রয়োজনে অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এই সুবিধাগুলির মাধ্যমে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করা সহজ ও সময়সূচীভুক্ত হয়ে যায়, এবং আপনি পাসপোর্ট পেতে চলেয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সরাসরি আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন।